333 helpline
ঢাকা: জাতীয় জরুরি সেবার ৩৩৩ নম্বরে কল করলে বন্যার্তদের জন্য সরকারের ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
শনিবার (২৫ জুলাই) সচিবালয় থেকে অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩৩৩ নম্বরটি সব দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে ট্যাগ করে দিয়েছি। কোথাও যদি কেউ খাদ্য কষ্ট পান তাহলে ৩৩৩ নম্বরে যোগাযোগ করলে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকারের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের আওতায় ৩৩৩ কল সেন্টার জাতীয় তথ্য ও সেবা দিতে কাজ করছে, যার সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড।
করোনা ভাইরাসের এ সংকটের সময়ে দেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হেল্পলাইনে পরিণত হয়েছে কল সেন্টার ৩৩৩।
333 helpline providing COVID-19 support
During the COVID-19 crisis in Bangladesh, the national helpline 333 played a vital role in supporting citizens. It provided telemedicine services through a pool of 4,000+ doctors, helping over 350,000 people safely consult physicians from home. The helpline also coordinated emergency food relief, reaching over 46,000 families in need.
Launched in 2018 by the a2i programme, 333 has responded to 4.4 million+ calls, prevented 5,400+ child marriages, and addressed 18,000+ social issues. Available 24/7, it continues to offer essential support without bureaucratic delays.
আলো ফিরে আসা
সায়েম মাত্র ১১ বছরের এক ছেলে। বাবা দিনমজুর, মা গৃহিণী। দারিদ্র্যের সাথে প্রতিদিন যুদ্ধ করেই চলে তাদের সংসার। সায়েম পড়ালেখায় ভালো ছিল, ক্লাসে প্রায়ই প্রথম হতো। তার শিক্ষক বলতেন, “এই ছেলে একদিন অনেক বড় হবে।”
কিন্তু হঠাৎ করেই সায়েম স্কুলে আসা বন্ধ করে দিল।
শিক্ষক খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারলেন—বাবা তাকে পাশের শহরের এক গ্যারেজে কাজ করতে পাঠিয়েছে। বাবা বলেছে, “পড়ালেখা দিয়ে পেট চলে না। এখন রোজগার করতে হবে।”
ছোট্ট সায়েম প্রতিদিন ভারী যন্ত্রপাতি টেনে ক্লান্ত হয়ে পড়ত। দুপুরে তার সমবয়সীরা যখন খেলা করে, তখন সে থাকে ধুলাবালিতে মাখা।
একদিন স্কুলের শিক্ষক ও এক সমাজকর্মী মিলে সায়েমের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন। তারা বোঝালেন—শিশুদের অধিকার আছে শিক্ষা পাওয়ার, খেলার, সুরক্ষার।
তারা ৩৩৩ নম্বরে কল করে শিশু সহায়তা হেল্পলাইনেও যোগাযোগ করলেন। এরপর সমাজসেবা কর্মকর্তারা এসে সায়েমকে সেই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে আনেন।
তার বাবাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে অন্য পেশায় যুক্ত করা হয়, আর সায়েমকে আবার স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়।
সায়েম আজ আবার স্কুলে যায়। নতুন ব্যাগ, বই আর পুরোনো সেই হাসি—সব ফিরেছে তার জীবনে।
সে জানে—“শিশুদের জায়গা গ্যারেজে নয়, স্কুলে।”
