সায়েম মাত্র ১১ বছরের এক ছেলে। বাবা দিনমজুর, মা গৃহিণী। দারিদ্র্যের সাথে প্রতিদিন যুদ্ধ করেই চলে তাদের সংসার। সায়েম পড়ালেখায় ভালো ছিল, ক্লাসে প্রায়ই প্রথম হতো। তার শিক্ষক বলতেন, “এই ছেলে একদিন অনেক বড় হবে।”
কিন্তু হঠাৎ করেই সায়েম স্কুলে আসা বন্ধ করে দিল।
শিক্ষক খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারলেন—বাবা তাকে পাশের শহরের এক গ্যারেজে কাজ করতে পাঠিয়েছে। বাবা বলেছে, “পড়ালেখা দিয়ে পেট চলে না। এখন রোজগার করতে হবে।”
ছোট্ট সায়েম প্রতিদিন ভারী যন্ত্রপাতি টেনে ক্লান্ত হয়ে পড়ত। দুপুরে তার সমবয়সীরা যখন খেলা করে, তখন সে থাকে ধুলাবালিতে মাখা।
একদিন স্কুলের শিক্ষক ও এক সমাজকর্মী মিলে সায়েমের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন। তারা বোঝালেন—শিশুদের অধিকার আছে শিক্ষা পাওয়ার, খেলার, সুরক্ষার।
তারা ৩৩৩ নম্বরে কল করে শিশু সহায়তা হেল্পলাইনেও যোগাযোগ করলেন। এরপর সমাজসেবা কর্মকর্তারা এসে সায়েমকে সেই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে আনেন।
তার বাবাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে অন্য পেশায় যুক্ত করা হয়, আর সায়েমকে আবার স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়।
সায়েম আজ আবার স্কুলে যায়। নতুন ব্যাগ, বই আর পুরোনো সেই হাসি—সব ফিরেছে তার জীবনে।
সে জানে—“শিশুদের জায়গা গ্যারেজে নয়, স্কুলে।”